নদিয়ার ফুলিয়ায় বাঙালিয়ানার ছোঁয়ায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন
নদিয়া জেলার ফুলিয়া শহর আবারও জেগে উঠেছিল বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষকে ঘিরে। ১৯ এপ্রিল, ৫ই বৈশাখ, শনিবার দিনভর এক অনন্য সাংস্কৃতিক মিলনমেলা বসে সাহিত্যিক আরতি ঘোষের বাসভবনে। এই আয়োজনে নেতৃত্ব দেন আন্তর্জাতিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘খোলাচিঠি’।
উদ্বোধন করলেন প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার কবি তুষারকান্তি মুখোপাধ্যায়
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় জাতীয় সংগীত এবং মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে। উদ্বোধন করেন সাহিত্য ও সেনাবাহিনীর এক ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব, প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার ও কবি তুষারকান্তি মুখোপাধ্যায়। তিনি নিজের বক্তব্যে বলেন, “এইরকম সাহিত্যভিত্তিক বর্ষবরণ উৎসব বাঙালি চেতনার ধারক ও বাহক।”
সম্মানিত অতিথিদের উপস্থিতিতে উৎসব পায় এক বিশেষ মাত্রা
উৎসবের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রথিতযশা ক্ষেত্র গবেষক ড. সুজিত কুমার বিশ্বাস। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার খ্যাতনামা ছড়াকার শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি রামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাপতির আসন অলংকৃত করেন কবি বিষ্ণুপদ দে।
একশো’রও বেশি কবি ও শিল্পীর অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত পরিবেশ
এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রায় একশো সাহিত্যিক, কবি ও শিল্পী তাঁদের কাব্য ও সৃষ্টিশীলতা দিয়ে মুগ্ধ করেন দর্শকদের। প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে মানপত্র, সাহিত্য পুস্তক ও বাংলা পঞ্জিকা ক্যালেন্ডার দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
নারী নেতৃত্ব ও সাহিত্যিক আবেগের এক অপূর্ব সম্মিলন
এই ঐতিহাসিক আয়োজনের অন্যতম মুখ ছিলেন কবি আরতি ঘোষ, যাঁর পিতৃভবনেই এই উৎসবের আয়োজন। আহ্বায়ক হিসাবে পাশে ছিলেন নির্মলচন্দ্র পাঠক, কৃষ্ণা সিকদার, শুভ্রা দেবনাথ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটির নিখুঁত ব্যবস্থাপনা ও সঞ্চালনায় ছিলেন ‘খোলাচিঠি’-র সম্পাদক তারক দেবনাথ।
বাঙালির চেতনায় সাহিত্য ও সংস্কৃতির নিখুঁত ছোঁয়া
সারাদিন ধরে আবৃত্তি, সংগীত, পাঠ এবং মুক্ত আলোচনা চলে। উৎসব যেন হয়ে ওঠে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার এক অসাধারণ সাংস্কৃতিক মঞ্চ। অনেক নতুন লেখকও তাদের সৃজনশীলতাকে শেয়ার করার সুযোগ পান, যা ভবিষ্যতের সাহিত্যের সম্ভাবনার পথ খুলে দেয়।
